মিশরের ২১তম রাজবংশ এবং আজকের সিল্ক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

সৌখিনতা আজকের দিনের একটি প্রচলিত শব্দ। ঠিক তেমনি সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ আগে থেকেই চীনারা শব্দটিকে পরিধানের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িয়ে নিয়েছিলো। সৌখিনতাকে যদি বস্ত্র হিসেবে উপস্থাপন করতে বলা হয়, তবে প্রথমেই “সিল্ক” শব্দটি মাথায় ঘুরপাক খায়।

চলুন সিল্ক সম্পর্কে বিশদভাবে জেনে নেয়া যাক!

সিল্ক মূলত কি?
সিল্ক বা রেশম এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যার কয়েকটি ধরন সরাসরি টেক্সটাইল খাতে ব্যবহার করা হয়। এতে সাধারণত দু’ ধরনের প্রোটিন লক্ষণীয়, যথা: সেরিসিন এবং ফাইব্রইন।

বিজ্ঞাপন

সিল্ক কোথা হতে সংগ্রহ করা হয়?
রেশম বা সিল্কের সর্বাধিক পরিচিত ধরনটি ‘বোম্বিক্স মোরি’ নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এটি ‘ইনসেক্টা’ শ্রেণির ‘বম্বেসিডাই’ পরিবারের অধিভুক্ত। সেরিকালচার পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে সিল্ক বা রেশম সুতা উৎপাদনের প্রাথমিক ধাপটি সম্পন্ন হয়।

রেশম চাষ কিভাবে করা হয়ে থাকে?
রেশম পোকার লার্ভাকে তুঁত পাতা খাওয়ানো হয় এবং চতুর্থ মোল্টের পরে তারা তাদের কাছে রাখা একটি ডাল বেয়ে উপরে উঠে এবং তাদের রেশমি কোকুনগুলো ঘোরায়। তারপর কোকুন ফুটন্ত জল দিয়ে চিকিৎসা করা হয় এবং সূক্ষ্মভাবে মুক্ত করা হয়। প্রায় ১০ কেজি কোকুন থেকে ১ কেজি রেশম বা সিল্ক উৎপাদিত হয়।

সিল্ক বা রেশমের সাথে বিশ্ববাসীর পরিচয় হয় কবে?
সর্বপ্রথম চীনে রেশমগুটির চাষ করা হয়। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ আগে থেকেই চীনারা এর ব্যবহার জানতো এবং সেকালের চীনা সম্রাট এবং ধীরে ধীরে ধনীগোষ্ঠীতে সিল্ক বা রেশম বেশ সমাদৃত হতে থাকে। অধিক সতর্কতা অবলম্বনের পর রেশম গুটির চাষ জাপান, কোরিয়া এবং ভারতে শুরু হতে থাকে। তবে রেশম বাণিজ্যের প্রথম প্রমাণ মেলে মিশরের ২১তম রাজবংশের একটি মমির চুলে পাওয়া রেশম থেকে। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো ছিলো ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহর।

বিজ্ঞাপন

রেশম বা সিল্ক কতো প্রকার হয়ে থাকে?
বিশ্বজুড়ে চার ধরনের প্রাকৃতিক রেশম উৎপাদিত হয়। যথা:
১. মালবেরি সিল্ক
২. ইরি সিল্ক
৩. তসর সিল্ক
৪. মুগা সিল্ক

রঙের কেমন তারতম্য হয়ে থাকে?
সিল্ক বা রেশম হরেক রঙের হতে পারে। যেমন: সাদা, হলুদ, হলদেটে, সবুজ এবং সোনালি-হলুদ।

মূল্যবান পোষাক তৈরিতে সিল্ক সুতার কদর করা হয় কেন?
সিল্ক বা রেশম একটি প্রাকৃতিক ফিলামেন্ট ফাইবার। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক মসৃণতা। বেশ স্থিতিস্থাপক, নমনীয়, তুলনামূলক শক্তিশালী (ইস্পাতের তুলনীয় সুতার মতো), সম্প্রসারণশীল, চাকচিক্যপূর্ণ, গুণাগুণ সম্পন্ন এবং শতকরা ১১ ভাগ আর্দ্রতা ধারণ সম্পন্ন হওয়ার কারণে এই সিল্ক বা রেশমকে বিশ্বব্যাপী সমাদর করা হয়ে থাকে।

সিল্কের বিবিধ ব্যবহার: ফ্যাশন্যাবল ক্লথ, ড্রেস, ব্লাউজ, স্কার্ফ, গ্লাভস, টাই, হ্যাট, ওয়াল কভারিংস ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিল্কের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়। সিল্ক ক্রোশেটের জন্য ও দুর্দান্ত হতে পারে।

সিল্ককে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে দেখা সময়ের দাবিমাত্র। বোম্বিক্স মোরি এর যথাযথ চাষাবাদের মাধ্যমে আজ হোক বা কাল বিশ্বব্যাপী সিল্কের চাহিদা থাকবে তুঙ্গে।

শীর্ষ সংবাদ:
নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএম‌পি ক‌মিশনার আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কৃষক সমাবেশ মেক্সিকোয় গির্জার ছাদ ধসে নিহত ৭, ধ্বংসস্তূপে আটকা ৩০ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ‘আইনে সুযোগ আছে’ সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী রাকিব গ্রেপ্তার জবি থেকে ট্রেজারার নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি শিক্ষক সমিতির ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা গোমস্তাপুরে মহানন্দা নদীতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে : সিইসি গাজীপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রকৌশলীর অপসারণ চেয়ে বরিশালে ঠিকাদারদের মানববন্ধন সিলেটের পালপুরে ৩ মাসের শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সাংবাদিক নাদিম হত্যার ৪ আসামীর রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ গোয়ালন্দে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন ইউএনও লালমোহনের দেবীরচরে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা জীবন যুদ্ধে বাসে বাসে বাদাম বিক্রি করছে বাবাহারা ৫ বছরের আলামিন