আগামী ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে গৃহহীনদের মাঝে ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৬৮৩টি পরিবারের মাঝে ঘরের কবুলিয়তসহ হস্তান্তর করা হবে। এই নিয়ে সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন।
জেলা সার্কিট হাউসের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আনোয়ার হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ও ৪২ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত করতে কাজ চলছে। এরপর বরিশাল বিভাগকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বরিশাল জেলায় তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১০ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন এক হাজার ৮৫৬টি পরিবার জন্য নির্মিতব্য গৃহ থেকে কবুলিয়তসহ ৬৮৩টি ঘর উপকারভোগী পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে আগামী ২১ জুলাই। এর মধ্যে বরিশালের সদরে আটটি, বাকেরগঞ্জে ৫৯টি, মেহেন্দিগঞ্জে ১৪৫টি, উজিরপুরে ১৪১টি, গৌরনদীতে ৯২টি, মুলাদীতে ২০টি, বাবুগঞ্জে ৫৭টি, হিজলায় ৯০টি, আগৈলঝাড়ায় ৭১টি রয়েছে। অসমাপ্ত বা অর্ধসমাপ্ত ৭২১টি ঘর ও কবুলিয়ত সম্পাদনের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।’
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ে বরিশাল বিভাগে আট হাজার ২৫০টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে তিন হাজার ২১০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে তিন হাজার ৫৫০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৬৮৩, পটুয়াখালীতে ৪৪৯, ভোলায় এক হাজার ২৯১, পিরোজপুরে ৬৯৯, বরগুনায় ২৭৬ ও ঝালকাঠিতে ১৫২টি ঘর দেওয়া হবে।’
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিভাগের দুটি জেলার ঝালকাঠির কাঠালিয়া এবং পটুয়াখালীর দশমিনাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিভাগের ছয় জেলায় এখন পর্যন্ত আট হাজার ২৫০টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি বরিশাল জেলার ১০ উপজেলার কবুলিয়তসহ এক হাজার ৫৫৬টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে একই বছরের ২০ জুন বরিশালের ১০ উপজেলায় কবুলিয়তসহ ৫৪৯টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৬ এপ্রিল জেলার ১০ উপজেলায় কবুলিয়তসহ ৪৫২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় আগামী ২১ জুলাই কবুলিয়তসহ আরও ৬৮৩টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।