তেল-সার-শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধিতে হিমশিম অবস্থা শরণখোলার চাষিদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

সরকারি উদ্যোগ না থাকা, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অতিমাত্রায় লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলায় এক সময় শুধুমাত্র আমন ধানের চাষ হতো। এর পর বছরের বাকি সময়টা খিল পড়ে থাকতো হাজার হাজার বিঘা জমি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেই অবস্থা থেকে অনেকটা অগ্রসর হয়েছেন চাষিরা। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, কৃষি বিভাগের পরামর্শ এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে সেই জমিতে এখন চাষ হচ্ছে বোরেসহ তিন ফসল।

তবে, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষের খরচও বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে চাষিরা হিমশিম খেলেও এবার বোরো চাষের পরিমানও বেড়েছে। গতবছর চাষ হয়েছিল ৪০০ হেক্টরে। সেখানে এবার চাষ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। কলের লাঙলের শব্দে মাঠজুড়ে এক অন্যরকম আবহ তৈরী হয়েছে। বোরো ধানের চারা সংগ্রহ ও রোপণের ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

উপজেলার মধ্যে খোন্তাকাটা গ্রামের চাষি সাদেক হোসেন হাওলাদার, উত্তর খোন্তাকাটা গ্রামের লতিফ তালুকদার, ইউনচ গাজী এবং উত্তর রাজাপুর গ্রামের শাহজাহান সরদার ও রুহুল মীর বলেন, আগে আমরা শুধুমাত্র আমন ধান চাষ করতাম। তাতে যে পরিমাণ ফসল পেতাম তা দিয়ে আমাদের বছরের খোরাকি হতো না। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে গত দুই বছর ধরে আমরা বোরো ধানের চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

এসব চাষিরা জানান, গতবছর টিলার দিয়ে এক বিঘা জমি শুধু চাষ করতে দুই হাজার টাকা লাগতো। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার এবার রাগছে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার গাজার টাকা। শ্রমিকের মজুরি ৫০০টাকা থেকে হয়েছে ৬০০-৭০০টাকা। কুচরা বাজারে সারের দামও বেড়েছে কেজিতে ৬-৭ টাকা। সব মিলিয়ে অন্যান্য বছর এক বিঘা জমি চাষাবাদে খচর হতো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। সেখানে এবার খরচ পড়ছে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা।

খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে বোরো ও রবি শষ্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। একারণে আমার ইউনিয়নে এখন বোরো ধান, সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক চাষ হচ্ছে।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, শরণখোলায় কয়েক বছর আগে শুধুমাত্র আমন ছাড়া অন্য কোনো ধান চাষ হতো না। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের (কৃষি বিভাগ) এবছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। যা গতবছরের চেয়ে দেড় শ’ হেক্ট বেশি। গতবার প্রতি হেক্টরে সাত মেট্রিক ট্রন ফসল হয়েছে। যেখানে আমন হয়েছিল মাত্র চার থেকে সাড়ে চার মেট্রিক টন।

বিজ্ঞাপন

কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপকূলীয় এই অঞ্চলের জমিতে লবণাক্ততা বেশি। বন্যা-খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগও হয় ঘন ঘন। তাই সেই সব দিক বিবেচনা করে লবণ সহিষ্ণু জাতের উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৬৭, ৯৭,৯৯, বিনা-১০, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০, ব্রি হাইব্রিড-৫, ব্রি-৭৪, ৮৮, ৮৯, ৯২ হাইব্রিড এসএল-৮, এইচ উইন-৩০২, এসএম-১, ব্যবিলন-২ ধানের চাষ করা হচ্ছে। এসব জাত থেকে বিঘাপ্রতি গড়ে ২৫ মন করে ধান ঘরে পারবেন চাষিরা।

শীর্ষ সংবাদ:
এক হাতে দিয়ে জীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছে লালমোহনের নয়ন হবিগঞ্জে স্কুল ছাত্রী জেরিন হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদন্ড দক্ষিণাঞ্চলে ৮০ কিমি রোডমার্চ করবে বিএনপি বিশ্ব নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ নেন : সাইফুজ্জামান জুয়েল চৌধুরী নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম : স্পিকার বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন : উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী ঝিনাইদহে চ্যালেন ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম সন্ত্রাসী হামলায় আহত, বসতঘর ভাঙচুর আত্মহত্যার দর্শন ও স্বরূপ সন্ধান প্রবল বৃষ্টির মধ্যে জয়পুরহাট-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসানুজ্জামান মিঠুর সফল জনসমাবেশ ভূমিহীন মরিয়ম ত্রিশ বছর ধরে স্যানিটারি মিস্ত্রির কাজ করছে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী বাজার থেকে আলু উধাও ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু দূর্নীতিবাজ যেই হোক, সে রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারেনা: মহিব্বুর রহমান গোয়ালন্দে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন প্রবাসী হোসাইন সরনজাই কলেজ অধ্যক্ষ ইমারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আ’লীগ নেত্রীর মৃত্যু সবজির বাজারে আগুন, বাড়তি ফার্মের মুরগির দামও উত্তর অ্যামেরিকার সমর্থন ধরে রাখতে মরিয়া জেলেনস্কি