রাজশাহীর তানোরে জেলা আওয়ামী লীগের বিপদগামী সাবেক এক নেতার নেপথ্যে মদদে একটি চক্রব্যুহ সিন্ডিেকট সৃষ্টি হয়েছে।
এরা হাট-ঘাট, বালু মহাল ও গভীর নলকুপে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজী, নিয়োগ বাণিজ্যে, সাংগঠনিক পদ বাণিজ্যে ইত্যাদির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছে, তাদের এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে সংগঠনের সর্বনাশ হয়েছে।কিন্ত স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এসব বুঝতে পেরে তাদের লাগাম টেনে ধরেন।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নীতিনৈতিকতা ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে এরা দেশের গতানুগতিক (এমপি কেন্দ্রিক) রাজনীতিতে এমপি বিরোধীতার নামে জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান ও পৃথক বলয় সৃস্টির নামে দলীয়কোন্দল সৃস্টি করে তারা মুলধারার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে। অন্যদিকে এদের রাজনৈতিক বেঈমান ও মিরজাফর আঙ্খা দিয়ে তৃণমুল তাদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এতে গোদাগাড়ীর মাটিতে তাদের রাজনীতি করার দিন শেষ হয়েছে অনেক আগেই, আগামিতে তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরসভায় যদি এমপি তথা আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতৃত্বের বিজয় ঘটে তাহলে তানোরের মাটিতেও তাদের রাজনীতির অধ্যায় শেষ।
এখন যেকোনো সময় নির্বাচন দিলে এসব পৌরসভায় এমপি অনুগতদের বিজয় নিশ্চিত। এদিকে বিষয়টি উপলব্ধি করে সিন্ডিকেট চক্রের রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। তানোর ও মুন্ডুমালার রাজনীতিতে এমপি অনুগত বা মুলধারার কোনো নতুন নেতৃত্ব বিকশিত হোক সেটা তারা চাইনা, আদর্শিক ও তরুণ নেতৃত্ব যেনো বিকশিত হতে না পারে সেটা প্রতিহত করতে সিন্ডিকেটচক্র প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমেই তারা আবুল বাসার সুজনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে।
তারা কখানো সুজনকে বহিরাগত,কখানো হাইব্রিড ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে মিথ্যাচার করছে,তবে রাজনীতিতে বহিরাগত বলে কোনো শব্দ নাই। তাদের আশঙ্কা আগামিতে সুজন নেতৃত্বে আসলে তানোরের মাটিতে তাদের দাঁড়ানোর স্থান থাকবে না। সেই আশঙ্কা থেকেই
ব্যবসায়ী ও বিশিস্ট সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজনের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার শুরু করেছে। এঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ আমজনতা সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী, বিশিস্ট সমাজ সেবক এবং পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন আদর্শিক ও তরুণ নেতৃত্ব আবুল বাসার সুজন করোনা দুর্যোগে খাদ্য সহায়তা বিতরণ, এলাকার উন্নয়ন ও আর্থিক অনুদান প্রদানসহ, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করে আলোচনায় উঠে এসেছে। পৌরবাসির অভিমত, সাধারণ মানুষ এবং ভোটারদের মধ্যে আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে আবুল বাসার সুজন।
তারা বলেন, মেয়র নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্বগুন ইত্যাদি প্রয়োজন সুজন সেই সব গুনের অধিকারী সম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। এসব বিবেচনায় নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তায় সুজন অন্যদের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছে আগামিতে নৌকার প্রার্থী হলে সুজনের বিজয় প্রায় নিশ্চিত।
এদিকে এমপিবিরোধী শিবির হিসেবে পরিচিত কথিত সেভেন স্টার সুজনকে ঠেকাতে ও জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের বি-টিম হয়ে মাঠে নেমে বহিরাগত-হাইব্রিড ইত্যাদি নানা ভাবে সুজনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথাচার করেই চলেছে। তাদের আশঙ্কা সুজন নেতৃত্বে আসলে তানোরের মাটিতে মুলধারা তথা এমপি বিরোধীদের কোনো স্থান থাকবে না বেঈমানির রাজনীতি শেষ, ওদিকে গোদাগাড়ীর মাটিতে অনেক আগেই তারা নিষিদ্ধ হয়েছে, এখন তানোরের মাটিতেও নিষিদ্ধ হলে তাদের কি হবে সেই আশঙ্কায় তারা দিশেহারা ও মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে, হারিয়েছে রাজনীতি করার মনোবল।
ফলে এরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে এমপি বিরোধীতার নামে আওয়ামী লীগের সম্ভবনাময় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে গিয়ে একের পর এক ভূল করে তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তৃণমুল মানুষের ভাষ্য, যেভাবে হোক আর যে কারনেই হোক সুজনের মাধ্যমে প্রতিদিন কিছু মানুষতো উপকৃত হচ্ছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে কার স্বার্থে।
আর সুজন তো কখানো তাঁর জন্য কিছু চাইনি তিনি সব সময় বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের হাতকে শক্তিশালী করে এবং উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে আগামিতে প্রতিটি নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। তানোর পৌরসভার মতো জায়গা থেকে সুজনদের নেবার কিছু নাই, তবে দেবার অনেক কিছুই আছে ইতমধ্যে তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে সেটার প্রমাণ দিতেও সক্ষম হয়েছেন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে সুজন মেয়র নির্বাচন করতে চাই কেন ? কারন মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে গেলে একটা জায়গা বা চেয়ার প্রয়োজন সেই জায়গা করতেই সুজনের নির্বাচনে আশা। এর বাইরে অন্যকিছু নাই। সুজনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও অবস্থানের সঙ্গে অন্যদের অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি সকলের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে এর জন্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন নাই। দল,নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সুজন রাজনীতিতে সরব হয়েছেন।