জাতিসংঘের মতে, গ্রহে জীবনের উন্নতির আশা ম্লান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে বিশ্ব নেতাদের বৈঠকে ২০৩০ সালের মধ্যে মানবতার উন্নতির মূল লক্ষ্যগুলো পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং অন্যান্য সংকট অব্যাহত থাকায় পরিকল্পনাগুলোর লক্ষ্য অর্জনের আশা এখন ম্লান এবং সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।

২০১৫ সালে জাতিসংঘের সদস্য-রাষ্ট্রগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য ১৭টি বিস্তৃত উন্নয়ন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করা, পানীয় জলের সুবিধা প্রদান, সকলের জন্য লিঙ্গ সমতা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার এএফপি’কে বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির জন্য আপনি আর প্রকৃতির ওপর বা পিছিয়ে থাকা লোকদের ওপর নির্ভর করার চেষ্টা করতে পারবেন না।’

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের মতে, ২০৩০ সালের এজেন্ডা সমস্যায় পড়েছে।জুলাই মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিপদের মধ্যে রয়েছে।’

এই লক্ষ্যগুলো পূরণের জন্য সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একত্রিত হওয়া সরকার গুলোকে খসড়া ঘোষণা অনুসারে ‘মানুষ, এই গ্রহ, সমৃদ্ধি, শান্তি এবং অংশীদারিত্বের জন্য কাউকে পিছিয়ে না রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা: কিছু ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি এখন ২০১৫ সালের তুলনায় আরও খারাপ।
কভিড-১৯ মহামারী চরম দারিদ্র্য (২.১৫ ডলারের এর কম আয়ে জীবনযাপন) মোকাবিলায় অগ্রগতি স্থগিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

দারিদ্র্য নির্মূলের প্রত্যাশিত লক্ষ্য থেকে বিশ্ব অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমান হারে ৫৭৫ মিলিয়ন মানুষ ২০৩০ সালে এই ধরনের দারিদ্রের পরিস্থিতিতে বসবাস করবে। যাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকায় এবং বিশ্বকে ২০০৫ সালের থেকে এমন ক্ষুধার মাত্রায় ফিরে আসতে দেখা যায়নি।

অধিকন্তু, ১.১ বিলিয়ন মানুষ শহরাঞ্চলে বস্তির মতো অবস্থায় বাস করে। দুই বিলিয়নেরও বেশি এখনও পানীয় জলের সুবিধা পায় না। এক হাজার শিশুর মধ্যে ৩৮ জন তাদের পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মারা যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো ক্রমবর্ধমান ধ্বংসাত্মক।

ঋণের বোঝা: কভিড-১৯ থেকে শুরু করে ইউক্রেনের যুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন সংকটে বিশ্ব আজ পঙ্গু। অনেক দেশ তাদের ঋণের ভারে ভেঙে পড়েছে এবং পথ পরিবর্তন করার উপায় নেই।
স্টেইনার বলেন, ‘দেশগুলো এখনই যে উন্নয়ন চায় তা অনুসরণ করতে সক্ষম নয়, তবে তারা শুধুমাত্র প্রবৃদ্ধি ফিরে পেতে একটি পুনরুদ্ধারের পথ বেছে নিতে পারে।’ যদিও এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পথ।

তিনি বলেন, ‘এই বৃদ্ধি আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানী নির্ভরতা এবং বৃহত্তর অসমতার দিকে নিয়ে যায়। অবিকল যে জিনিসগুলো আমাদের রাস্তায় অনেক উত্তেজনা, বিক্ষোভের দিকে পরিচালিত করেছে।’
এ কারণে সোমবার যে খসড়া ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করা হবে তাতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার ওপর জাতিসংঘের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক জি-২০ সম্মেলনে তার পরিকল্পনা সমর্থন পেয়েছে।

দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা, শিক্ষা, পানীয় জল বা ক্লিন এনার্জির সুবিধা, সুস্বাস্থ্য এবং শান্তিতে বসবাস – এই সমস্ত উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো মূলত পরস্পর নির্ভরশীল।

স্টেইনার বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো বেশিরভাগ উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোকে ক্ষুন্ন করে। কারণ, তারা ফসল, অবকাঠামো এবং জীবিকার ব্যবস্থা ধ্বংস করে। সেজন্য পরিবর্তন অবশ্যই ব্যাপক হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১ ডলার ব্যবহার করতে পারি, সুবিধা ১ ডলারের বেশী পেতে চাই। আপনি যদি দারিদ্র্যকে মোকাবেলা করতে চান তাহলে বিদ্যুৎ সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে, একটি অপরটির পরিপূরক।’ ‘আপনি যদি বিদ্যুতের অ্যাক্সেসের দিকে নজর দেন এবং এটিকে ডিকার্বনাইজেশনের উদ্দেশ্যের সাথে একত্রিত করেন তবে আপনি দারিদ্র্য হ্রাস উভয়ই অর্জন করতে পারেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে পারেন।’

শীর্ষ সংবাদ:
নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএম‌পি ক‌মিশনার আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কৃষক সমাবেশ মেক্সিকোয় গির্জার ছাদ ধসে নিহত ৭, ধ্বংসস্তূপে আটকা ৩০ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ‘আইনে সুযোগ আছে’ সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী রাকিব গ্রেপ্তার জবি থেকে ট্রেজারার নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি শিক্ষক সমিতির ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা গোমস্তাপুরে মহানন্দা নদীতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে : সিইসি গাজীপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রকৌশলীর অপসারণ চেয়ে বরিশালে ঠিকাদারদের মানববন্ধন সিলেটের পালপুরে ৩ মাসের শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সাংবাদিক নাদিম হত্যার ৪ আসামীর রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ গোয়ালন্দে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন ইউএনও লালমোহনের দেবীরচরে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা জীবন যুদ্ধে বাসে বাসে বাদাম বিক্রি করছে বাবাহারা ৫ বছরের আলামিন