কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বর্ষার অলঙ্কার কদম ফুল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে চলছে বর্ষা মৌসুম। এই মৌসুমে বৃষ্টি যেমন প্রকৃতিতে সূচি শুদ্ধতা দিয়ে আসে তেমনি বর্ষার অলংকার হিসেবে কদমফুল তার আপন মহিমায় নিজেকে সৌন্দর্যের সবটুকু দিয়ে মেলে ধরে। ষড়ঋতুর এ দেশে আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষা ঋতু। কিন্তু দিন দিন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা বর্ষার স্মারক কদম ফুল। চিতলমারীর গ্রামের সর্বত্রই বর্ষার আগমনীতে নিজেদের মেলে ধরতো আপন মহিমায় কদম ফুল।

কিন্তু কদম গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কদম ফুল না ফুটলে যেন বৃষ্টি ঝরে না, যে কদমকে নিয়ে এতো কিছু আষাঢ়ের বার্তবাহক সেই প্রিয় ফুলের গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। কদম এখন যেন একটি দুর্লভ ফুলের নাম। কদমের শুভ্ররাগে হৃদয় রাঙিয়ে নেয়ার সুযোগ এখানকার কম মানুষেরই আছে।

চিতলমারীতে হারিয়ে যাচ্ছে সেই বর্ষা মৌসুমের চিরচেনা কদম। কদম ফুলকে বলা হয়ে থাকে বর্ষার বিশ্বস্ত দূত। কাঠফাঁটা রোদের গরমের পর বর্ষা মানেই গুচ্ছ গুচ্ছ কদমফুলের উপস্থিতি। বর্ষা মানে কদমফুলের মতই তুলতুলে নরম বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দের ধ্বনি।

বিজ্ঞাপন

বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক পঙ্কজ মন্ডল বলেন, মূলত কদম নামটি এসেছে সংস্কৃত নাম কদম্ব থেকে। কদম্ব মানে হলো যা বিরহীকে দুঃখী করে। বৃত্তপুষ্প, সর্ষপ, ললনাপ্রিয়, সুরভী, মেঘাগমপ্রিয়, মঞ্জুকেশিনী, কর্ণপূরক, পুলকি এসবও কদম ফুলের নাম। প্রাচীন সাহিত্যের একটি বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে কদম ফুলের আধিপত্য। মধ্যযুগের বৈষ্ণব সাহিত্যেও কদম ফুলের সৌরভমাখা রাধা-কৃষ্ণের বিরহগাথা রয়েছে। গীতাতেও আছে কদম ফুলের সরব উপস্থিতি।

আরও পড়ুন… গো-খাদ্যের দাম বেশির কারণে লাভ নিয়ে সংশয়ে খামারিরা

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও লেখক বাবু মুকুলেশ ঢালী বলেন, কদম ফুল শুধু বর্ষায় প্রকৃতির হাসি নয়, এর রয়েছে নানা উপকারিতা। কদম গাছের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কদম গাছের কাঠ দিয়ে দিয়াশলাই তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই কদম ছাড়া বর্ষা বেমানান। বর্ষায় প্রকৃতির সতেজ-সজীব রূপ-রস যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয় জয় করে এসেছে। প্রকৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে অন্য গাছের পাশাপাশি কদম গাছ রোপণ করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মানুষ আধুনিক যুগে প্রাকৃতিক সৌদর্য্যকে ভুলে কৃত্রিম সৌন্দর্য তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় বাঙালি সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় গাছগাছালি ও ফল-ফুল। লাভের অংকের হিসেব মেলানোর জন্য মানুষ আর তার বাড়ির আঙিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না। ‘কদমথ গাছের জায়গায় এখন তারা মেহোগনি, রেইন্ট্রিসহ নানান দামি দামি কাঠের গাছ রোপণে করছেন। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে পরিবেশ বিপর্যেয়র এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য সরকার পাশাপাশি সামাজিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

আরও পড়ুন… ভাড়া কমিয়েও যাত্রী না মেলায় এবার লঞ্চ কমলো ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে

শীর্ষ সংবাদ:
দূর্নীতিবাজ যেই হোক, সে রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারেনা: মহিব্বুর রহমান গোয়ালন্দে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন প্রবাসী হোসাইন সরনজাই কলেজ অধ্যক্ষ ইমারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আ’লীগ নেত্রীর মৃত্যু সবজির বাজারে আগুন, বাড়তি ফার্মের মুরগির দামও উত্তর অ্যামেরিকার সমর্থন ধরে রাখতে মরিয়া জেলেনস্কি ২০২৪ সালের হজের কোটা ঘোষণা পল্টনে ব্যাংকে ঢুকে ছিনতাই, দুই পুলিশসহ গ্রেফতার ৫ বৃষ্টিতে ভিজে ভ্রম্যমাণ আদালতের অভিযান ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা বরিশালে যুবদল নেতাকে হাতুড়ি পেটা যুবলীগের কলারোয়ায় ৭ বছরের শিশুর আ*ত্মহ*ত্যা বাকৃবিতে পরীক্ষার ফরমের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কচুয়ায় ১৯ টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ছয় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার নেত্রকোনায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু শিক্ষকদের টাকায় কর্মকর্তার রাজকীয় ভুরিভোজ! কাউখালী শহরে রাস্তা সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগ জনগণের মোংলায় বি এস টি আই এর অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা হরিণাকুণ্ডুর ইউএনও সাফল্যে গাঁথা নারী সুস্মিতা সাহা শেরপুরের শ্রীবরদীতে বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে ভাংচুর, হামলায় আহত ৫