ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুদে কারবারীদের অত্যচারে সর্বশান্ত হতে বসেছে কয়েক ইউনিয়নের মানুষ। ইতিমধ্যে এদের অত্যচারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জ লড়ছে জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের মোফাজ্জেল মন্ডলের ছেলে আক্তারুল হোসেন।
গত বৃহঃবার(২৯ জুন) বিকালে সুদের সাপ্তাহিক পাওনা পরিশোধে করতে না পারায় নাকোবাড়িয়া গ্রামের মহব্বত হোসেনের ছেলে সুদে কারবারী এনামুল ইসলাম স্থানীয় মেম্বর সের আলী ও তার ছেলে রানার সহযোগিতায় দোকান থেকে তুলে নিয়ে প্রান নাশের হুমকিসহ মানসিক অত্যাচার করে। এক পর্যায়ে শেষ সম্বল গোয়ালের গরুটি দিতে রাজি হলে রক্ষা মেলে।
উপজেলার জামাল ইউনিয়নে ৫০ জনের অধিক এই সুদে কারবারীদের অত্যচারে অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের সাধারন মানুষ। সুদে কারবারীদের মধ্যে অত্যতম ইনামুল বিশ্বাস,বাদশা মিয়া,ইমাদুল হোসেন,মোস্তাক বিশ্বাস,মহব্বত বিশ্বাস,অসীম,মামুন,হযরত,শুকুর কাজী,রুবেল হোসেন,মনিরুল ইসলাম,শাহিনুর কাজী,জাহাঙ্গীর মন্ডল,সাদ্দাম হোসেনা আরো অনেকে। এদের অত্যচারে ভিটামাটি ছেড়েছেন অনেকে। এ সুদে কারবারীদের অবৈধ টাকার ব্যবসা পরিচালিত হয়ে থাকে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের কব্জায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি ক্ষতিগ্রস্থ আক্তারুল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে ২ কিস্তিতে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় সাপ্তাহিক সুদ ৭ হাজার টাকায় মৌখিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে আমি বাড়ির গরু,গাছগাছালি বিক্রি করে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিলেও আসল টাকা শোধ করতে পারেনি।
গতকাল মেম্বর সের আলী হাতপা কেটে গুম করার হুমকি দেয় আমাকে। আমি সুদে কারবারীদের হাত থেকে পরিত্রান চাই।
অভিযুুক্ত এনামুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনে কথা বলতে নারাজ। স্থানীয় ইউপি সদস্য সেরআলী জানান,আমি এনামুলের কাছে টাকা পাব যে কারনে এনামুলের সাথে গিয়েছিলাম আক্তারুলকে ধরতে।
জামাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন জানান,আমি এগুলো প্রশ্রয় দিই না। তবে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিব।