কলাপাড়ায় বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

দূর থেকে তাকালেই মনে হয় প্রকৃতি যেনো বিশালাকৃতির হলুদ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। কাছে আসলেই দেখা যাবে নীল আকাশের সঙ্গে হলুদ সূর্যমুখীর মায়াবী রূপ।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিস্তৃত মাঠ জুড়ে পরিপক্ক সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কম বেশী চাষ হয়েছে সূর্যমুখীর। মাঠের পর মাঠ ছেয়ে আছে হলুদের আভায়। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই হলুদের ছড়াছড়ি। চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ সৌন্দর্য। কম খরচে অধিক ফলন ও লাভবান হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকে পরেছে। ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বিকল্প পদ্ধতি ও অধিক লাভের আশায় প্রতিবছরই সূর্যমুখী চাষ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর মোট ৫৮০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইসান-৩৩ ও বারি সূর্যমুখী জাতের ফুলের চাষ বেশি করেছে কৃষকরা। তবে গতবছরের তুলনায় এবছর প্রায় ১’শ হেক্টর জমিতে এ ফুলের চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় কমবেশি এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা তাদের খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। এতে তারা সুর্যমূখীর বিচি ৩৫’শ টাকার উপরে মন প্রতি বিক্রি করতে পারবেন। তবে স্থানীয়ভাবে এ বীচ থেকে তৈল উৎপাদনের সুযোগ থাকলে আরও লাভবান হবেন বলে সূর্যমুখী চাষীরা জানান।

উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বোদ্ধপাড়া গ্রামের কৃষক জুলহাস ব্যাপারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে তার ক্ষেতের ফলন খুব ভালো হয়েছে। শুরুতে ব্যকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলেও কৃষি অফিসের পরামর্শে তা সেরে উঠেছে। এবছর সে ১০ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। ফসল উঠলে ৫ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে এ চাষি জানান।

তবে টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রজপাড়া গ্রামের কৃষক মোস্তাক হাওলাদার, আব্দুর রহিম, মিজানুর রহমানসহ একাধিক কৃষক জানান, সরকারীভাবে দেয়া বীজগুলো কিছুটা নিম্নমানের হওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পরবর্তীতে বীজ ক্রয় করে চাষ করায় এখন তাদের ক্ষেতে ভালো ফলন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.জে এইচ খান লেলীন বলেন, সূর্যমুখী ফুলের তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অত্যান্ত কার্যকর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে। গত বছর ৪৯২ হেক্টর

জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হলেও এবছর তা বেড়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ১৮’শ প্রত্যেক কৃষককে ১ কেজি করে সূর্যমুখীর বিজ ও পর্যাপ্ত পরিমান সার দেয়া হয়েছে। তবে আগামীতে ১ হাজার হেক্টর জমি এ চাষাবাদের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শীর্ষ সংবাদ:
বিদ্যুতে বকেয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা সবাইকে সমান সুবিধা দিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ আইনমন্ত্রীর গুচ্ছ ‘সি’ ইউনিটে পাস ৬৩.৪৬ শতাংশ, প্রথম হয়েছে রায়হান শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে হেনস্তা কলারোয়ায় ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদান শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে: মুজিবুল হক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাতা বিতরণ ইবির জালালাবাদ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আল-আমিন ও পাশা গাইবান্ধায় পুলিশের কঠোর তৎপরতায় কৃষি ব্যাংকের ১৪ লাখ টাকা লুটের রহস্য উন্মোচন দেশ সেবার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠার আহ্বান ইবি উপাচার্যের আগামীতে নির্বাচিত হলে রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপন করতে চাই : লিটন কবির জন্য অপেক্ষা নরসিংদীতে জমে উঠেছে কাঠাল সহ বিভিন্ন ফলের বাজার নরসিংদীতে রায়পুরায় মহিষের আক্রমণে কৃষক দম্পত্তি গুরতর আহত ঈশ্বরগঞ্জে অটোরিকশার চাপায় শিশু নিহত মোরেলগঞ্জে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি গ্রেফতার আমি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিলাম সাতক্ষীরায় রুহুল হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার তারেক-জোবাইদার মামলা: সাক্ষ্য দিলেন তিন ব্যাংক কর্মকর্তা পাইকগাছায় ইজারা নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিপাকে ইজারাদার