রাজশাহী-১আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী কখানো নৌকায় ভোট দেন না, তিনি আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী ও রাজাকার পুত্র এমন কাল্পনিক হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ রাজনৈতিক অঙ্গনে হাসির খোরাক বা হাসির পাত্র হয়েছেন বলে মনে করছে তৃণমুল।
কারণ তার করা অভিযোগ এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে মানায় না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সব প্রটৌকল ভেঙ্গে একক ক্ষমতা বলে ফারুক চৌধুরীকে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়ে সাধারণ নির্বাচনে নৌকার টিকেট দিয়েছেন।
অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁছাতে চাই, সেখান থেকে ফারুক চৌধুরীর রাজনীতি শুরু। একজন নেতার প্রতি দলীয় প্রধানের কতটা বিশ্বাস-আস্থা থাকলে এমনটা করেন তার প্রমাণ ফারুক চৌধুরী এমপি। তিনি ২০০১-২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা চারবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনবার বিজয়ী এবং একবার প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত (তানোর-গোদাগাড়ী) ও আঁতুড়ঘর তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসত ঘরে পরিণত করেছেন।
আরও পড়ুন—–ইন্টার মিয়ামিকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা
নৌকা তাঁর নিজের নির্বাচনী প্রতীক, অথচ তিনিই নাকি নৌকায় ভোট দেন না আসাদের দাবি। তাহলে তার এই কথার মানে দাঁড়ায় কি দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর চেয়ে রাজনৈতিক দূরদর্শীতা আসাদেরই বেশি ! এখন প্রশ্ন হলো ফারুক চৌধুরী ছিলেন জেলার সভাপতি আর আসাদুজ্জামান আসাদ সম্পাদক, তাহলে যে ব্যক্তি নৌকায় ভোট দেন না, তার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে তিনি রাজনীতি করলেন কেনো, তখন তিনি কেনো সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা বা নিজে পদত্যাগ করেন নি এর জবাব কি আছে আসাদের কাছে ? আবার ফারুক চৌধুরী এমপিকে বলেছেন আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী। অথচ এমপি ফারুক চৌধূরী বিভিন্ন নির্বাচন বা দলীয় কর্মসূচিতে কখানো কি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে চেতনাবিরোধী কোনো কাজ করেছেন, কখানো দলের বিরুদ্ধে কি অবস্থান নিয়েছেন, কখানো কি আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কোনো নেতার বিরুদ্ধে বিষোদাগার করেছেন, কখানো কি দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী করেছেন করেন নাই এই প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না তাহলে তিনি চেতনাবিরোধী হলেন কি বিবেচনায়।
আরও পড়ুন—–বরিশালে সন্তানদের অমানবিকতা,বৃদ্ধা মাকে ফেলে দিলেন রাস্তায়
তাহলে আসাদের নেতৃত্বে যারা জাতীয় সংসদ, রাজশাহী জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের আদর্শ নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে এমনকি নৌকার বিজয় ঠেকাতে অন্যদলের পক্ষে কাজ করেছে তাহলে তারাই কি আওয়ামী লীগের চেতনাবান্ধব ?
এছাড়াও আসাদ তাকে রাজাকার পুত্র বলে জঘন্যতম মিথ্যাচার করেছেন। কারণ রাজাকারের সজ্ঞা কি ? সাধারণ তো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা অন্যর সম্পত্তি জবরদখল, সম্পদ লুট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, খুন-ধর্ষণ, হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে তাদের বুঝি। কিন্ত্ত ফারুক চৌধুরীর প্রয়াত পিতা শহীদ আজিজুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এমন একটিও অভিযোগের কেউ কি কোনো প্রমাণ দিতে পারবে না পারবে না তাহলে কি বিবেচনায় আসাদ তাকে রাজাকার বলেছেন।
কারণ এমপির পিতা শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী ও চাচা মুকবুল হক চৌধূরীকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে রাজশাহীর বাবলা বনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তার মামা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা। তাহলে তিনি রাজাকার পুত্র হলেন কি ভাবে-? মৃত মানুষকে নিয়ে এমন মিথ্যাচার শুধু জঘন্য অপরাধ নয় কবিরা গুনাহ্ও বটে।