উন্নয়নের অভাব নাই কিন্তু অভাবের উন্নয়ন নাই

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

যাত্রাপথে পরিচয়। ভ্রমনের সময়টুকু সে আমার প্রতিবেশি, আমার সঙ্গী। সিপন একজন শিক্ষিত বেকার। চাকরি নাই, কাজ নাই। তাই টিউশনি করে কোন রকম দিন পাড় করছে। মনে প্রচন্ড ক্ষোপ এবং হতাশা জন্ম নিয়েছে যে কোন সময় বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে এমন ক্ষোপেই সে তা আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলতে শুরু করলো। আমিও তার কথাগুলো গভীর মনোযোগের সাথে শুনছি আর সায় দিয়ে যাচ্ছি আর মাঝে মধ্যে আমিও তার কথার সাথে একটু- আকটু যোগ করছিলাম। আমরা এমন এক সময় অতিক্রম করছি, যেখানে উন্নয়নের অভাব হয় না কিন্তু অভাবের উন্নয়ন হয় না। মৌলিক যে উন্নয়ন তাতে ঘাটতি অনেক। অবকাঠামো অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু যার ওপর ভিত্তি করে এই অবকাঠামো উন্নয়ন টিকি থাকবে তার উন্নয়নে কোন গঠনমূলক পরিকল্পনা ও বাস্তবতা চোখে পড়ছে না। একের পর অগ্নিকান্ড, কখনো বস্তিতে, কখনো গোডানো, কখনো কারখানায় সবখানেই পুড়ে অঙ্গার। অভাবের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টায় খেঁটে খাওয়া শ্রমজীবী গরীব মানুষ। যাদের জীবনের মূল্য কখনো ২লক্ষ টাকা, কখনো ১০হাজার টাকা, কখনো ২হাজার টাকা। শ্রমজীবী গরীব সাধারণ মানুষের অভাবের উন্নয়ন ঘটানো এই পূজিঁবাদী রাষ্ট্র এবং অর্থনীতিতে কতটা দুঃসাধ্য তা বারবার আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে মালিকদের সৃষ্টি এই দুর্ঘটনাগুলো।

আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না , কিন্তু ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, আঙ্গুল ফুঁলে বটগাছ হয় কতিপয়ের । আমারা ভাগ্যের উন্নয়নে পিষ্ঠ হচ্ছি প্রতিনিয়ত। বাাঁচার তাগিদে শিশুদের জীবন ঝুলছে টেম্পুর পিছনে হেলাপার কিংবা আরো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। আমরা ভাগ্যের উন্নয়নের বলি হচ্ছি আর বার্ষিক প্রবৃদ্ধির নিচে চাপা পড়ছে আমাদের ভাগ্য । তাই উন্নয়নের অভাব হয় না কিন্তু আমাদের অভাবেরও উন্নয়ন হয় না। আজকের বাস্তবতায় অভাবের উন্নয়ন জরুরী।

অভাবের উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে চলমান সংকট থেকে বের হওয়া অসম্ভব। তোমরা আমরা একই মানুষ তবুও তোমাদের কোন অভাব হয় না আর আমদের অভাবের উন্নয়ন হয় না। চারিদিকে বাহারি উন্নয়ন, কতিপয়ের অগাধ সম্পদ সেই সাথে দাম্ভিকতা, কত আয়োজন উন্নয়নের কিন্তু অভাবের উন্নয়নে নতদৃষ্টি। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হলে উন্নয়নের অভাব হবে না কিন্তু অভাবের কোন উন্নয়ন হবে না। আর অভাবের উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে উন্নয়নগুলোও ক্ষণস্থায়ী, ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছেন এবং দুই লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন অভাবের উন্নয়ন ঘটাতে কিন্তু স্বাধীনতার ৫২বছরেও আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অভাবের উন্নয়ন ঘটেছে কতটুকু? বাংলাদেশের এখনো দশলাখ মানুষ গৃহহীন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পথশিশুদের সংখ্যা। ২০০৫সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দৈনকি মাত্র এক মার্কিন ডলার আয় করে। বর্তমান সময়েও এই অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয় নি। আর বিপরীতে কালো টাকার পরিমাণ সোয়া ৯লক্ষ কোটি টাকা। প্রতিবছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলেও তা কোন কাজে আসে না বরং কালো টাকার পরিমাণ দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। এখনো কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় নি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র -২ (এসডিজি-২) অর্জনের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা খুবই উদ্বেগজনক।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন , বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ পর্যাপ্ত পুষ্টিকর ও বিভিন্ন ধরনের খাবার খায় না। প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশুর সঠিক শারীরিক বিকাশ বা বৃদ্ধি পায় না এখানে। মানসিক বিকাশেরও ঘাটতি রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এছাড়া গেল কয়েক বছরে তীব্র অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি। তার বিপরীতে সিন্ডিকেটেদের কবলে দেশের দেশের বাজার ব্যবস্থা।

গত ৩ জুলাই ২০২১ খ্রিস্টাব্দের কোন এক দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম মাত্র ৪৯দিনে এদেশের চাল ব্যবসায়ীরা ভোক্তার পকেট কেটে লোপাট করেছে প্রায় ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এটা প্রতিবছরের ঘটনা কখনো কখেনো প্রতি ৬মাসের ঘটনা। তবে বাজারের এই অবস্থা দেখা যায় আলু , পেয়াজ-রসুন, তেল-লবণ আদা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও। আয়ারল্যান্ডে আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক বলেন, অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের জনগণের উৎপাদনশীলতা কমছে যার আর্থিক ক্ষতি বছরে একশো কোটি ডলারের বেশি। শিশু শ্রমের সাথে জড়িত আছে ১৭লাখ শিশু। প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের বয়স ৬থেকে ১১ বছরের মধ্যে। এদের বেশিরভাগই ছেলে শিশু। স্বল্প আয়ের পরিবারের মেয়ে শিশুরা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে থাকে এবং তাদের সঠিক সংখ্যা জানা কঠিন। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটি ৫৫লাখ মানুষ এখনো দরিদ্র। যা মোট জনসংখ্যার ৬৬শতাংশ। এছাড়া মোট জনসংখ্যার ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ বা কোটি ১ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণির। গ্রামে বসবাসকারী ৬০ শতাংশ মানুষ ভূমিহীন। শতকরা ৬৫ভাগ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসা সেবার মান বাড়েনি। চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসকরা অতিমাত্রায় বাণিজ্যিক হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোর পরিবেশে খুবই অস্বাস্থ্যকর। চিকিৎসা খাতের দুর্নীতি সকল দুর্নীতিকে হার মানিয়েছে। এখানে বাথরুমের একটি লাইটের দাম ৩হাজার ৮৪৩ টাকা। প্রতিদিনিই এখাতের দুর্নীতির চিত্র আমাদের সামনে আসে। দুর্নীতি আমাদের উন্নয়নগুলো ম্লান করে দিচ্ছে, ধ্বংস করে দিচ্ছে করে দিচ্ছে আমাদের উন্নয়নের পথ। ঘুষকে এখন কাজের গতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঘুষ এখন অলিখিত ভাবে বৈধতা পেয়েছে।

মাদকের রমরমা ব্যবসা তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মাদক নিষিদ্ধ হলেও ওপর মহলকে ম্যানেজ করেই চলছে এর রমরমা ব্যবসা। মাঝে মাঝে চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকছেন আরাম আয়েশে। মানব উন্নয়ন সূচকে ১৩৮তম স্থানে থাকা একটি দেশ, যেখানে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করা শিশুরা সামাজিক স্তরগুলোর মধ্যে সর্বনিন্ম স্তরগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে সেই সাথে বেড়েছে পথ শিশুর সংখ্যা যার আনুমানিক বর্তমান সংখ্যা ৪০ লক্ষ জন। ২০১৪ সালের শুমারি অনুযায়ী সারা দেশে বস্তিবাসীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২২লক্ষ।

বিজ্ঞাপন

ঋণখেলাপি সংস্কৃতর দুষ্টচক্রে পড়ে আছে বাংলাদেশ। প্রতিবছরই ঋণখেলাপির অংক বাড়ছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অতি সাম্প্রতিক তথ্য মোতাবেক- বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ ২লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। একদিকে একর পর এক রাষ্ট্রীয় শিল্পকারখানা লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আর অন্যদিকে ব্যক্তি মালিকানার শিল্পকারখানাগুলো ফুলে-ফেঁপে বটগাছের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বাড়ছে শ্রেণি বৈষম্য, শ্রেণি নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ, হত্যা-আত্মহত্যা, গুম, জঙ্গি তৎপরতা, কিশোর গ্যাং এর মতো সমাজিক অপরাধ। বিবিএস-এর জরিপ বলছে, দেশে কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ। তবে আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেকারের সংখ্যা ৩ কোটি। শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা, অনেকটাই হযবরল। দেশে এখন পাঁচ ধারার শিক্ষাব্যবস্থা বিদ্যমান। তাই শিক্ষিতরাও গড়ে উঠছেন নানান জাতের হয়ে। এখানে শিক্ষার অধিকারের নিশ্চয়তা নাই। এখানে শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা উপেক্ষিত প্রতি পদে পদে। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। সামাজিক নিরাপত্তার লঙ্ঘন যত্রতত্র। একের পর এক দখল হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নদী-নালা, খাল-বিল, বন, পাহাড়, খাস জমি। এমনি করে চলতে থাকলে ভাগ্যের উন্নয়নতো হবেই না বরং উন্নয়নেরও নতুন নতুন অভাব তৈরি হবে যা মোকাবিলা করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। আমরা উন্নয়নের অভাব চাই না কিন্তু অভাবের উন্নয়ন চাই। অভাবের উন্নয়ন করতে পারলেই উন্নয়নের অভাব ঘুচবে। আর্থিক এবং মানসিক সততার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই অভাবের উন্নয়ন ঘটবে।

সাংবিধানিক শক্তির সততা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে, সর্বস্তরের প্রশাসিনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জনপ্রতিনিধি এবং ঠিকাদারদেরকে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। তারা তাদের সম্পদের হিসাব দিতে না পারলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। রাজনৈতিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা। আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ নিশ্চিৎ করার মধ্য দিয়ে ভাগ্যের উন্নয়ন তরান্বিত করা সম্ভব। শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে । শিক্ষার মাধ্যমে দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতার চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে। আত্মকেন্দ্রিকতা , আত্মচিন্তার পরিবর্তন আনতে হবে। ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী, মাদককারবারী, দখলদার, বনখেকো, পাহাড় খেকো, নদীখেকো, বালুখেকো, সিন্ডিকেটদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী, মাদককারবারী, দখলদার, বনখেকো, পাহাড় খেকো, নদীখেকো, বালুখেকো, সিন্ডিকেটদের নামের তালিকা সকল প্রকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে আর সেই সাথে হাটবাজারের মোড়ে মোড়ে তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী, মাদককারবারী, দখলদার, বনখেকো, পাহাড় খেকো, নদীখেকো, বালুখেকো, সিন্ডিকেটদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে পারলে উন্নয়নের যেমন গতি আসবে, গতি আসবে ভাগ্যের উন্নয়নেও।

আমরা উন্নয়নের গতি চাই, আমরা ভাগ্যের উন্নয়ন চাই। সিপনের কথা শুনতে শুনতে কিভাবে যে সময় আর পথ ফুরিয়ে গন্তব্যে চলে আসলাম তা টেরই পেলাম না। আমরা দুজন পরস্পরকে স্বাভাবিক সৌজন্যতাবোধে বিদায় দিলাম। শ্রেণি বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা আমাদের উন্নয়ন চাই, জীবন মানের নিশ্চয়তা চাই, উন্নত রুচি চাই, বিকশিত জীবন চাই। আমাদের অভাবে উন্নয়ন ঘটলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন এবং উন্নতি হবে।

 

সুধীর বরণ মাঝি , শিক্ষক, হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চাঁদপুর।

শীর্ষ সংবাদ:
নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএম‌পি ক‌মিশনার আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কৃষক সমাবেশ মেক্সিকোয় গির্জার ছাদ ধসে নিহত ৭, ধ্বংসস্তূপে আটকা ৩০ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ‘আইনে সুযোগ আছে’ সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী রাকিব গ্রেপ্তার জবি থেকে ট্রেজারার নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি শিক্ষক সমিতির ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা গোমস্তাপুরে মহানন্দা নদীতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে : সিইসি গাজীপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রকৌশলীর অপসারণ চেয়ে বরিশালে ঠিকাদারদের মানববন্ধন সিলেটের পালপুরে ৩ মাসের শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সাংবাদিক নাদিম হত্যার ৪ আসামীর রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ গোয়ালন্দে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন ইউএনও লালমোহনের দেবীরচরে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা জীবন যুদ্ধে বাসে বাসে বাদাম বিক্রি করছে বাবাহারা ৫ বছরের আলামিন